Rule-65 | জরিমানা আরোপের পদ্ধতি
জরিমানা আরোপের পদ্ধতি
(১) ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর সারণীর ক্রমিক নং (ছ), (জ), (ঝ) ও (ড) এ বর্ণিত ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে বিধি ৬১ এর উপ-বিধি (৬) এ উল্লিখিত ফরম মূসক-১২.৬ এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত ক্ষেত্র সহ অন্যান্য সকল কর ফাঁকির ক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া জরিমানা আরোপের লক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম মূসক-১২.১২ এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।
(২) ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কর ফাঁকি সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা অনিয়ম ব্যতীত অন্য যে কোনো ধরনের ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য
(ক) যদি কোনো কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা
(খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ধারা ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্নকরণ করিয়া কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে ফাঁকি প্রদত্ত করের [*] [অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ] জরিমানা আরোপিত হইবে; যদি কোনো কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূসক কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে অন্যূন ১০ (দশ) হাজার এবং অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা :
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);
(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ধরন ও বিবরণ;
(গ) (ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির] কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বিধান;
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে); (চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;
(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা; নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়নআদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং
(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।
(৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
(৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির জন্য দায়ী। ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩” এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:
(ক) [ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির] জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);
(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;
(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);
(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;
(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;
(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);
(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা; (ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);
(ট) আদেশ;
(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে উক্ত জরিমানা জমা প্রদানের জন্য প্রযোজ্য অর্থনৈতিক কোড, সময় ও জমা প্রদানের পদ্ধতি; ]
(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং
(ঢ) ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।
(৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।
Leave a Reply