Blog

Rule-72 | কোনো খেলাপি করদাতার ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিবার পদ্ধতি

কোনো খেলাপি করদাতার ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিবার পদ্ধতি।—

(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বকেয়া কর আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ রাখিবার লক্ষ্যে ফরম “মূসক- ১৪.৪” এ নোটিশ প্রদান করিবেন।

(২) খেলাপি করদাতা উপ-বিধি (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির পর নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ করিবেন এবং ফরম “মূসক-১৪.৫” এ বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে খেলাপি করদাতা তাহার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ না করিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা উহা তালাবদ্ধ করিয়া সীলগালা করিবেন এবং ফরম “মূসক-১৪.৬” এ এতদসংক্রান্ত একটি নোটিশ তালাবদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দর্শনীয় স্থানে। ঝুলাইয়া দিবেন।

(৪) খেলাপি করদাতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধকালীন উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবা সরবরাহ বন্ধ রাখিবার জন্য বকেয়া আদায় কর্মকর্তা ধারা ৮২ এর অধীন ফরম “মূসক ১৪.৭” এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিবেন এবং উহার প্রতিপালন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

(৫) সমুদয় বকেয়া কর আদায় বা আংশিক আদায়ের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট বকেয়া কর পরিশোধের অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তালাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের তালা খুলিয়া ব্যবসা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং তালা খুলিয়া দেয়ার বিষয়টি ফরম “মূসক- ১৪.৮” এ বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন।

(৬) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহার দপ্তরে এই বিধির অধীন গৃহীত কার্যক্রমের বিবরণী ফরম “মূসক-১৪.৯” এর একটি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিবেন।

Rule-72 | কোনো খেলাপি করদাতার ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার পদ্ধতি

৭১। কোনো খেলাপি করদাতার ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার পদ্ধতি।—

ধারা ১৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (ঙ) এর অধীন কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে তাহার ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষেত্রে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বিধি ৬৪ এর বিধান অনুসরণ করিবেন।

Rule-70 | কোনো ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক হইতে কর্তন পদ্ধতি

কোনো ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক হইতে কর্তন পদ্ধতি

(১) কোনো খেলাপি করদাতার কোনো অর্থ কোনো ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংককে ফরম “মূসক-১৪.২ এর মাধ্যমে বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সার্টিফিকেট বা নোটিশের মূল কপি বা সার্টিফাইড কপিসহ অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন।

(২) বকেয়া আদায় সার্টিফিকেট প্রাপ্তির পর ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে সার্টিফিকেটে উল্লিখিত অর্থ, বা সার্টিফিকেটে উল্লিখিত অর্থ হইতে তাহাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ কম হইলে সমুদয় অর্থ আদায়পূর্বক সার্টিফিকেট জারিকারী কমিশনারেটের হিসাব কোডে জমা প্রদান করিয়া জমা প্রদানের ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে সার্টিফিকেট জারিকারী বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে ফরম “মূসক-১৪.৩” এ অবহিত করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত বকেয়া আদায় কর্মকর্তার অনুরোধ প্রতিপালন করা উক্ত ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক এর জন্য ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (২) এর বিধানমতে বাধ্যতামূলক হইবে এবং এই বিধানের লংঘন একই ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (২) এর বিধানমতে দন্ডযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।

Rule-69 | কোনো আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে কর্তন পদ্ধতি

কোনো আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে কর্তন পদ্ধতি।—

(১) কোনো খেলাপি করদাতার কোনো অর্থ আয়কর, শুল্ক, আবগারি বা মূসক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কমিশনার বরাবর ফরম “মূসক-১৪.২” এর মাধ্যমে বিধি ৬৮ এর উপ বিধি (২) এ উল্লিখিত বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেটের মূল কপি বা সার্টিফাইড কপিসহ একটি নোটিশ প্রেরণ করিবেন।

(২) বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট বা নোটিশ প্রাপ্তির পর কমিশনার তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ, বা বিধি ৬৮ এর অধীন ফেরতযোগ্য অর্থ হইতে সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ, বা সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ হইতে তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ কম হইলে নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদয় অর্থ আদায়পূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী কমিশনারেটের হিসাব কোডে জমাপূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে ফরম “মূসক-১৪.৩” এ অবহিত করিবেন।

Rule-68 | বকেয়া কর আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি

বকেয়া কর আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি-

(১) কমিশনার আইনের অধীন সৃষ্ট চূড়ান্ত বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে [সহকারী কমিশনারের] নিম্নে নহেন এমন এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা [Debt Recovery Officer (DRO)] হিসাবে পদায়ন করিবেন।

(২) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে খেলাপি করদাতা বরাবর ফরম “মূসক ১৪.১” এ ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন বকেয়া কর দাবি করিয়া একটি বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট জারি করিবেন।

Rule-67 | বিশেষ নিরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরীক্ষক নিয়োগ

বিশেষ নিরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরীক্ষক নিয়োগ

(১) বোর্ড এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণ করিয়া নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) নিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে। (৩) নিরীক্ষক নিয়োগের টেন্ডার দলিলে অন্যান্য তথ্যের সহিত নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে, যথা:

(ক) নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা;

(খ) নিরীক্ষার মেয়াদ;

(গ) নিরীক্ষকের কার্যপরিধি (terms of reference);

(ঘ) নিরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য নির্দেশিকা (Guideline);

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় মানদ- (standard);

(চ) নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের সময়; এবং

(ছ) অপরাধ ও দন্ড।

(৪) নিযুক্ত নিরীক্ষকের নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:

(ক) অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করা;

(খ) সরকারি রাজস্ব হানিকর কোনো কাজ করা;

(গ) অসত্য তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রদান করা;

(ঘ) বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি সরবরাহে ব্যর্থ হওয়া;

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় নির্দেশিকা (Guideline) অনুসরণ না করা;

(চ) নিরীক্ষার জন্য নির্ধারিত মানদন্ড (standard) অনুসরণ না করা;

(ছ) কর ফাঁকি প্রদান করা বা অন্য কাউকে তাহা করিতে সহায়তা করা; দরপত্র দাখিলের সময় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা;

(ঝ) নিয়োগ প্রাপ্তির পর কার্যক্রম গ্রহণে অনীহা প্রকাশ বা গৃহীত কার্যক্রম বন্ধ করা বা আংশিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা;

(ঞ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকরণে ব্যর্থতা; এবং (ট) আইন ও এই বিধিমালার কোনো বিধান লংঘন ও টেন্ডার দলিলাদিতে প্রদত্ত শর্ত ভংগ করা।

(৫) কোনো নিযুক্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপ-বিধি (8) এর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের কারণে যদি

(ক) কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে—

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ফাঁকি প্রদত্ত করের ন্যূনতম দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন;

(আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো তালিকাভুক্ত হইবেন; এবং

(খ) যদি কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ন্যূনতম ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন;

(আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং দ্বিতীয়বার ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো তালিকাভুক্ত হইবেন। অপরাধের

(৬) উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানো নোটিশ ও ব্যক্তিগত শুনানির ক্ষেত্রে বিধি ৬৫ এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

(৭) উপ-বিধি (৫) এর বিধান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর এতদসংক্রান্ত বিধানের অতিরিক্ত হইবে।

Rule-66 | তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি

তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি

(১) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির লক্ষ্যে কমিশনার [বা মহাপরিচালক] এক বা একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে আদেশ দ্বারা এক বা একাধিক দল (team) গঠন করিতে পারিবেন।

(২) কমিশনার খুবা মহাপরিচালক] বর্ণিত আদেশে সরবরাহ তত্ত্বাবধানের স্থান, সময় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।

(৩) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল সরবরাহস্থল পরিদর্শনপূর্বক সরবরাহ তত্ত্বাবধান শুরুর পূর্বে ফরম “মূসক-১৩.১” এ (কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।

(৪) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল আদেশে বর্ণিত স্থানে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণকালীন অবস্থানপূর্বক সরবরাহ চালানপত্র জারিসহ মূসক সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করিবেন এবং প্রতিদিনের কার্যক্রম পরবর্তী দিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-১৩.২” এ একটি দৈনিক প্রতিবেদন এবং সরবরাহ তত্ত্বাবধানের মেয়াদ শেষে ফরম “মূসক-১৩.৩” এ একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন [কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট দাখিল করিবেন।

৬৬ক। করদাতার কর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিরীক্ষা। যুগ্ম কমিশনার বা যুগ্ম পরিচালক পদপর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, এই আইনের অধীন প্রদেয় করের যথার্থতা নিরূপণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিরীক্ষা বা অনুসন্ধানের জন্য যে কোনো নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করিতে পারিবেন।

Rule-65 | জরিমানা আরোপের পদ্ধতি

জরিমানা আরোপের পদ্ধতি

(১) ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর সারণীর ক্রমিক নং (ছ), (জ), (ঝ) ও (ড) এ বর্ণিত ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে বিধি ৬১ এর উপ-বিধি (৬) এ উল্লিখিত ফরম মূসক-১২.৬ এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত ক্ষেত্র সহ অন্যান্য সকল কর ফাঁকির ক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া জরিমানা আরোপের লক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম মূসক-১২.১২ এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।

(২) ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কর ফাঁকি সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা অনিয়ম ব্যতীত অন্য যে কোনো ধরনের ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য

(ক) যদি কোনো কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা

(খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ধারা ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারণ কার্যক্রম সম্পন্নকরণ করিয়া কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে ফাঁকি প্রদত্ত করের [*] [অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ] জরিমানা আরোপিত হইবে; যদি কোনো কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূসক কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে অন্যূন ১০ (দশ) হাজার এবং অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।

(৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা :

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);

(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ধরন ও বিবরণ;

(গ) (ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির] কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে); (চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;

(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা; নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়নআদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং

(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।

(৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।

(৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।

(৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির জন্য দায়ী। ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩” এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:

(ক) [ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির] জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);

(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;

(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;

(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;

(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);

(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা; (ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);

(ট) আদেশ;

(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে উক্ত জরিমানা জমা প্রদানের জন্য প্রযোজ্য অর্থনৈতিক কোড, সময় ও জমা প্রদানের পদ্ধতি; ]

(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং

(ঢ) ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।

(৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।

Rule-64 | ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষমতা ও পদ্ধতি

ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষমতা ও পদ্ধতি

(১) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং বিধি ৬৮ এর অধীন পদায়নকৃত বকেয়া আদায় কর্মকর্তা (Debt Recovery Officer DRO) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিতে পারিবেন, যথা: (ক) ধারা ২ এর দফা (৭৪) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যক্তি;

(খ) নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি;

(গ) তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য কোনো ব্যক্তি; এবং (ঘ) সহযোগী কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

(২) কমিশনার বা উপ-বিধি (১) এর অধীন কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১২.৯” এ একটি পরোয়ানা জারি করিবেন।

(৩) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উপ-বিধি (২) এর অধীন জারিকৃত পরোয়ানা প্রাপ্ত হইয়া তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবেন এবং ফরম “মূসক-১২.১০” এ একটি প্রতিপালন প্রতিবেদন পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৪) যে কারণে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করা হইয়াছে তাহা নিষ্পত্তি হইলে উহা নিষ্পত্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১১” এ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবার একটি সনদ জারি করিবেন যাহার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবেন।

(৫) ধারা ১১৫ এর অধীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধিতে বিধৃত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

Rule-63 | জব্দকৃত পণ্য ও পণ্যবাহী যান ছাড় প্রদান

জব্দকৃত পণ্য ও পণ্যবাহী যান ছাড় প্রদান। –

(১) জব্দকৃত কোনো পণ্য বা পণ্য বোঝাই কোনো যানবাহন যে উদ্দেশ্যে জব্দ করা হইয়াছে তাহার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও আটককারী কর্মকর্তা বা অনুর্ধ্ব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণপূর্বক অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন উপ-বিধি (১) অনুযায়ী ছাড় প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিশ্বাসযোগ্য হইতে হইবে, যথা:

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের মালিক বা চালক ইতঃপূর্বে অনুরূপ পণ্য পরিবহনেঅংশ গ্রহণ করেন নাই; এবং

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদান করার ফলে উক্ত পণ্য ও যানবাহন সংক্রান্ত। বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ অথবা আলামত বিনষ্ট হইবে না।

(৩) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে; যথা:

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে উক্ত যানবাহনের মালিকানা সম্পর্কিত সকল প্রকার প্রমাণাদিসহ ফরম “মূসক- ১২.৭” এ উক্ত যানবাহন ছাড় প্রদানের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিতে হইবে;

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট ফরম “মূসক-১২.৮” এ মুচলেকা প্রদান করিতে হইবে; এবং (গ) দফা (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মৌসুমী ইট ভাটার কোনো পণ্য বা পণ্যবাহী যান আটক করা হইলে, বকেয়া আদায় বা বকেয়া করের সমপরিমাণ অর্থের ব্যাংক গ্যারান্টি রাখিয়া উহা অন্তর্বর্তী ছাড় প্রদান করিতে হইবে।

(৪) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে, সংশ্লিষ্ট আদালতের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে, উক্ত যানবাহন ছাড় প্রদান করা যাইবে।