Blog

Section-121: কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল

কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল—

(১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন অতিরিক্ত কমিশনার বা তৎনিম্ন পদধারী মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন করদাতা বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবিকৃত থাকরের জরিমানা ব্যতীত,] [২০ (বিশ)] শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যুক্তিসঙ্গত কারণে উপরি-উক্ত ৯০ (নব্বই) দিন মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।

(৩) কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত পদ্ধতিতে পক্ষগণকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসরের মধ্যে আপীল কার্যক্রম নিষ্পত্তি করিবেন।

(৪) কমিশনার (আপীল) তর্কিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে অথবা তিনি যেইরূপ সঙ্গত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে (de novo) তিনি কার্যধারাটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিমান্ডে প্রেরণ করিতে পারিবেন না।

(৫) আপীল নিষ্পত্তি করিবার প্রয়োজনে কমিশনার (আপীল), নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে, তর্কিত বিষয়ে অধিকতর নিরীক্ষা, তদন্ত অনুষ্ঠান, তথ্য সংগ্রহ বা কার্যধারার যথার্থতা যাচাই করিতে পারিবেন।

(৬) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আপীলটি কমিশনার (আপীল) কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

Section-120: অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত

অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত-

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ড প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য হইবে।

Section-119: অপরাধের আপোষরফা

অপরাধের আপোষরফা–

(১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।

(২) মামলা দায়ের করিবার জন্য কমিশনার কর্তৃক পূর্বানুমোদনের পূর্বে বা পরে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে আপোষরফা করা যাইবে, তবে মামলা রুজু করিবার পর আপোষরফা করিতে হইলে আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

Section-117: অপরাধে সহায়তাকারী

অপরাধে সহায়তাকারী-

যদি কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা সহযোগিতা করেন বা প্ররোচিত বা প্রলুব্ধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকারীর ন্যায় একই অপরাধে অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত অপরাধীর ন্যায় একই দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

Section-116: কোম্পানী, ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

কোম্পানী, ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক অপরাধ সংঘটন-

(১) কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি সংঘ বা সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্ট উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ সংঘটন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।

(২) উক্ত পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রতিনিধি বা মূসক এজেন্টের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার একই কার্যধারায় উক্ত কোম্পানীকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উক্ত কোম্পানীর উপর অর্থদন্ড ব্যতীত কারাদণ্ড আরোপ করা যাইবে না।

Section-115: জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত ক্ষমতা

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত ক্ষমতা-

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অপরাধ সংঘটনকারীর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষমতা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে।

Section-114: অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপীল

অপরাধের তদন্ত, বিচার ও আপীল-

(১) ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধসমূহ ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে এবং তিনি এই আইনে বর্ণিত যে কোন অর্থদন্ড আরোপ করিতে পারিবেন।

(২) অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (bailable) ও অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) হইবে।

(৩) কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তার নিকট হইতে লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।

(৪) নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে মূসক কর্মকর্তা এই আইনের অধীন দন্ডনীয় অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করিবেন।

(৫) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন বিচারের ক্ষেত্রে যে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অবলম্বন করেন সেই একই পদ্ধতিতে অপরাধসমূহের বিচার করিবেন এবং উক্ত অপরাধ সংক্রান্ত আপীল, রিভিউ, রিভিশন, ইত্যাদি ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

Section-113: প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ ও দন্ড

প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ ও দন্ড

মূসক কর্মকর্তাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন দায়িত্ব পালনে যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) হাজার টাকা বা অনূর্ধ্ব ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

Section-112: মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের অপরাধ ও দন্ড

মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের অপরাধ ও দন্ড

যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে কোন কর দলিলাদিতে মূসক কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিবরণ বা বিবৃতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।