Blog

Section-128: অনলাইনে কার্যসম্পাদন, দাখিলপত্র পেশকরণ এবং কর পরিশোধ, ইত্যাদি

অনলাইনে কার্যসম্পাদন, দাখিলপত্র পেশকরণ এবং কর পরিশোধ, ইত্যাদি

তথ্য ও যাগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন সম্পাদিতব্য যে কোন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে অনলাইনে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্পাদন করা যাইবে।

Section-127(Kha): কতিপয় পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ

কতিপয় পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ—

এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন বিশেষ পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময়, পদ্ধতি ও পরিমাণসহ অগ্রিম পরিশোধ বা উৎসে কর্তনের বিধান করিতে পারিবে।

Section-127(Ka): সরকারী পাওনা অবলোপনের ক্ষমতা

সরকারী পাওনা অবলোপনের ক্ষমতা

যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির দেউলিয়াত্ব অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব বিলোপ বা অন্যকোন কারণে এইরূপ নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর ধার্যকৃত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক কিংবা আরোপিত কোন অর্থদন্ড কিংবা এই আইন বা তদঅধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীনে সম্পাদিত কোন মুচলেকা বা অন্যকোন দলিলের অধীনে দাবিকৃত কোন অর্থ এই আইনের ধারা ৯৫ এর অধীনে আদায় করা সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে সরকার উক্ত সরকারি পাওনা আংশিক বা সমুদয় অংশ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবলোপন (Write off) করিতে পারিবে; তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি পাওনা অবলোপনের পর যদি প্রমাণ থাকে যে, দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তি নূতনভাবে উদ্ভব হইয়াছে বা ইতঃপূর্বে সরকারি অর্থের দায়-দেনা হইতে মুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যবসায় ভ্যাট আইনের প্রয়োগ বা প্রতিষ্ঠান স্বীয় সম্পত্তি অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করিয়া দেউলিয়া হইয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর সরকারি পাওনা আদায়ের নিমিত্তে অগ্রাধিকার সৃষ্টি হইবে এবং তাহা এমনভাবে আদায়যোগ্য হইবে যেন নূতনভাবে উদ্ভূত বা অসৎ উদ্দেশ্যে হস্তান্তরিত সম্পত্তির গ্রহীতার উপর সরকারি পাওনা পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে।

Section-127: প্রদেয় করের উপর সুদ আরোপ

প্রদেয় করের উপর সুদ আরোপ–

(১) যদি কোন ব্যক্তি নির্ধারিত তারিখে বা উক্ত তারিখের পূর্বে, কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তার] নিকট প্রদেয় কর পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহাকে নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হইতে পরিশোধের দিন পর্যন্ত প্রদেয়। করের পরিমাণের উপর (মাসিক ১ (এক) শতাংশ। সরল হারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উৎসে মূসক কর্তনজনিত বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদের করের পরিমাণের উপর। মানাসিক ২ (দুই) শতাংশ সরলহারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে।

(ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারায়, “পরিশোধের দিন পর্যন্ত” অর্থ নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হইতে নিষ্পন্নাধীন সময়সহ পরিশোধের দিন পর্যন্ত, তবে ২৪ (চব্বিশ) মাসের অধিক নহে।]]

(২) যে পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে প্রদেয় কর আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে কমিশনার তাহার নিকট হইতে সুদ আদায় করিবেন।

(৩) কোন ব্যক্তি কর্তৃক সুদসহ করের কোন পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিবার পর, যদি প্রমাণিত হয় যে, সুদের সহিত সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রদেয় ছিল না, তাহা হইলে উক্ত অর্থের উপর পরিশোধিত সুদ তাহাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।

(৪) অর্থদন্ড বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত সুদ প্রদেয় হইবে।

Section-126(Ka): পুরষ্কার ও কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান

পুরষ্কার ও কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান–

(১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে পুরস্কার প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ

(ক) এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার বিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে বা তদধীনে আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বা উহার প্রচেষ্টার ব্যাপারে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে তথ্য সরবরাহ করেন এবং প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁকিকৃত সমুদয় রাজস্ব বা তাহার অংশ বিশেষ আদায় হয়;

(খ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা অন্যকোন সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যিনি, এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীন আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি বা উহা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বা উক্ত আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘন চিহ্নিত বা উদঘাটন =করেন এবং তৎপ্রেক্ষিতে চিহ্নিতকরণ বা উদ্ঘাটনের ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায় হয়; বা

(গ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অন্য কোন সরকারী সংস্থা বা সরকারের জন্য কাজ করেন এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য কর দফা (ক) ও (খ) এ বর্ণিত পদক্ষেপ ব্যতিরেকে অন্য কোনভাবে আদায় করেন।

(২) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ

(ক) আইনের ধারা ৭৮ এ বর্ণিত কোন কর্মকর্তা; বা

(খ) আইনের ধারা ৭৮ এর উপ-ধারা (১) এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত মূসক দপ্তরে কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

Section-126: অব্যাহতি

অব্যাহতি-

(১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যে কোন পণ্য বা পণ্য শ্রেণির আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত যে কোন সেবাকে এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(২) বোর্ড, বিশেষ আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে কোন আন্তর্জাতিক চুক্তি বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি পারস্পরিক ভিত্তিতে (reciprocal basis) বাস্তবায়নের জন্য, যে কোন পণ্যের আমদানি, সরবরাহ গ্রহণ বা সেবা গ্রহণকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক (৩)[বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) বোর্ড, বিশেষ আদেশবলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখপূর্বক, করযোগ্য যে কোন পণ্যের আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত সেবাকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]

Section-125: বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি

বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি—

(১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন করদাতা নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত বা সময়ে কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত প্যানেল হইতে তৎকর্তৃক নির্বাচিত কোন সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং সহায়তাকারী নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্তে বা সময়ে উক্ত বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য, সময়ে সময়ে, এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৩) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হইলে, উক্ত সমঝোতার বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না এবং যেসকল বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইবে না, সেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানানুযায়ী পুনরায় কার্যধারা গ্রহণ করিতে হইবে।

(৪) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত পন্থা অবলম্বনের জন্য ব্যয়িত সময়কাল আপীল দায়েরের সময়সীমা গণনায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়, “বিরোধ” অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির প্রয়োগ হইতে উদ্ভূত কোন বিরোধ;

কিন্তু ”জালিয়াতি বা ফৌজদারি] অপরাধ বা আইনগত প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে এমন বিরোধ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

Section-124: হাইকোর্ট বিভাগে [আপিল]

হাইকোর্ট বিভাগে [আপিল]-

(১) বোর্ড বা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা কমিশনার বা মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, উক্ত আদেশের আইনগত প্রশ্নে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।

(২) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত [আপিলের বিষয়ে, যতদূর সম্ভব দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা প্রযোজ্য হইবে।

(৪) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে (আপিলের] আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তাহাকে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত প্রদেয় [করের জরিমানা ব্যতীত,] ১০ (দশ) শতাংশ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।

Section-123: কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়

কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়–

(১) কমিশনার (আপীল) ও আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যধারায় বিচার্য বিষয় প্রমাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামা চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে, যদি না করদাতা উক্ত হলফনামার বিষয়টি খন্ডন করিয়া ভিন্নরূপ প্রমাণ পেশ করিতে পারেন।

(২) উক্ত হলফনামার সহিত কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত নোটিশ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলিল সংযুক্ত করিতে হইবে।

Section- 122: আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল

আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল-

(১) কমিশনার বা কমিশনার (আপীল) বা মহাপরিচালক বা সমমর্যাদার কোন মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন ব্যক্তি বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিএনা আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, তর্কিত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারীর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন `{:

তবে শর্ত থাকে যে, প্রেসিডেন্ট, আপীলাত ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যুক্তিসংগত কারণে উক্ত ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।]

(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবীকৃত করের, জরিমানা ব্যতীত,] ২০ (বিশ) শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবেঃ

তবে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদণ্ডের কোন অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না।

(৩) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল আপীলের পক্ষগণের শুনানি গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন কর আদায়ের স্থগিতাদেশসহ যেইরূপ সঙ্গত এবং সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৪) কর আদায় স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালের যেকোন অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইবার পরের দিবসে অকার্যকর হইবে, যদি না কার্যধারাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন করা হয়, বা উহার পূর্বে আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

(৫) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে আপীল টি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে আপীলটি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব-দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

(৫খ) উপ-ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।]

(৬) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উহার বেঞ্চসমূহের কর্মপদ্ধতি উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

(৭) আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম (Penal Code) (Act No. XLV of 1860) এর ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অধীন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।