(১) (কমিশনার বা মহাপরিচালক এর নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালকের পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন] মূসক কর্মকর্তা অনুমোদিত উদ্দেশ্যে, নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে, যেকোন ব্যক্তির নিকট নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি দাবি করিতে পারিবেন, যথাঃ
(ক) নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য; বা
(খ) কোন ব্যক্তির কর্তৃত্বে থাকা দলিলাদি বা সাক্ষ্য-প্রমাণ।
(২) উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তার নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথাঃ
(ক) যেকোন রেকর্ডপত্রের প্রতিলিপি করিবার;
(খ) যেকোন রেকর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে জব্দ করিবার;
(গ) যেকোন রেকর্ড বা পণ্য সীল করিবার; এবং
(ঘ) নির্ধারিত ক্ষেত্রে ও পদ্ধতিতে, যেকোন ব্যক্তির ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (freeze)করিবার ব্যবস্থা গ্রহণের।
(৩) ঐ ডিক্ত| ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক কোন রেকর্ড, দলিলপত্র বা পণ্য জব্দ করিবার ক্ষেত্রে, উহা যাহার নিকট হইতে জব্দ করা হইয়াছে তাহার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৫) এই অধ্যায়ের কোন বিধানবলে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অনুসন্ধানমুক্ত কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা, কূটনৈতিক ভবন, কনস্যুলার বা বিদেশী রাষ্ট্রের মিশনসমূহে প্রবেশ ও তল্লাশি করা যাইবে না।
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায় “অনুমোদিত উদ্দেশ্য” অর্থ
(ক) কোন ব্যক্তির করদায় নির্ধারণের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহঃ
(খ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ;
কোন নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানী পূর্ববর্তী বছরের ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্বলিত বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী চলমান অর্থ-বছরের প্রথম ছয় কর মেয়াদের মধ্যে কমিশনারের নিকট দাখিল করিবে
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট কমিশনার উক্ত কোম্পানীর আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময়সীমা যৌক্তিক কারণ বিবেচনাপূর্বক আরো ছয় কর মেয়াদ পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।]
করদাতার অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান–
(১) কর ফাঁকি রোধকল্পে কমিশনার বা মহাপরিচালক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন যেকোন ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করিতে পারিবেন।
(২) বোর্ড, উক্ত নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিধি প্রণয়ন এবং অডিট ম্যানুয়াল প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে।
(৩) কমিশনার বা মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত মূসক কর্মকর্তা [*] নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া কমিশনার বা মহাপরিচালক বরাবরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে, নিরীক্ষিত কর মেয়াদে করদাতার প্রদেয় করের দায়-দায়িত্ব উদ্ঘাটিত হইলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক উক্ত করদায় নির্ধারণ করিবেন, এবং অপরিশোধিত করের উপর প্রযোজ্য সুদ উল্লেখ করিয়া উহা আদায়ের জন্য পরবর্তী কার্যধারা গ্রহণের নিমিত্ত উহা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৫) ধারা ৭৩ এ যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কমিশনার কর মেয়াদ সমাপ্তির ৩ (তিন) বৎসরের অধিককাল পূর্বের কোন কর মেয়াদের জন্য কোন বকেয়া কর দাবি করিতে পারিবেন না।]
মূল্য সংযোজন কর আইনের ক্ষেত্রে অন্যান্য আইনের প্রয়োগ
সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কাস্টমস আইন বা Excises and Salt Act, 1944 (Act No. I of 1944) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধিমালার যে কোন বিধান প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহকারে এই আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে।]
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোন করদাতার নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল তথ্য এবং দলিলাদি গোপনীয় গণ্য হইবে।
(২) আমদানি পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে কাস্টমস আইন দ্বারা কাস্টমস কর্মকর্তা যেইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন সেইরূপ ক্ষমতা এই আইনের অধীন আমদানি পণ্যের উপর মূসক, সম্পূরক শুল্ক এবং আগাম কর আরোপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
(১) রাজস্ব কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এমন কোন মূসক কর্মকর্তা এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনে যে কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদান ও দলিলাদি। উপস্থাপনের জন্য সমন প্রেরণ করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সমনকৃত যে কোন ব্যক্তি উক্ত কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইতে বাধ্য থাকিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩২ ও ১৩৩ এর অধীন সশরীরে উপস্থিত হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন প্রেরণ করা যাইবে না।
(১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বা করারোপ ও আদায়ের লক্ষ্যে—
(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস কর্মকর্তাগণ কাস্টমস আইন এর অধীন কার্যধারা গ্রহণ করিবেন; এবং
(খ) পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, মূসক কর্মকর্তাগণ এই আইনের অধীন, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত আর্থিক ক্ষমতা সাপেক্ষে, কার্যধারা গ্রহণ করিবেন, যথাঃ
সারণী
ক্রমিক নং
কর্মকর্তা
ক্ষমতা
কমিশনার
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকার অধিক হইলে;
অতিরিক্ত কমিশনার
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকা হইলে
যুগ্ম কমিশনার
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা হইলে;
উপ-কমিশনার
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা হইলে;
সহকারী কমিশনার
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা হইলে;
রাজস্ব কর্মকর্তা
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা হইলেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল কার্যধারার বিষয়বস্তুর সহিত কোন আর্থিক সংশ্লেষ নাই তথা অনিয়ম সংক্রান্ত, সেই সকল কার্যধারা [সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কোন কর্মকর্তা] কর্তৃক নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
ব্যাখ্যাঃ এই টেবিলে বর্ণিত “পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য” নির্ধারণের ক্ষেত্রে, আটককৃত পণ্য বা সেবাবহনকারী যানবাহনের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
(২) প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা এই ধারার অধীন গৃহীত প্রত্যেক কার্যধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন।
(৩) যদি কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] সংক্ষিপ্ত ন্যায় নির্ণয়ন এর আবেদন করেন, তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়ণকারী কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি ও শুনানী গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে পারিবেন।]
ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] জরিমানা আরোপ-
(১) নিম্নবর্ণিত সারণীর কলাম (২) এ বর্ণিত “ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] [ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা। কলাম (৩) এ বর্ণিত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যথাঃ
সারণী
ক্রমিক নং
ব্যর্থতা বা অনিয়ম
জরিমানার পরিমাণ
(১)
(২)
(৩)
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র যথাস্থানে প্রদর্শন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে কমিশনারকে অবহিত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি বাতিলের আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
ধারা ৯(৫) এর বিধান পরিপালন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
র্ধারিত তারিখের মধ্যে মুসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
৫ (পাঁচ) হাজার টাকা মাত্র
দাখিলপত্রে উৎপাদ করের কোন পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম:
অনুল্লেখিত উৎপাদ করের ’[*] অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ];
গৃহীত উপকরণ করের [*] [অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ];
দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করিবার বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হ্রাস করিবার অনিয়ম;
বর্ধিত হ্রাসকারী সমন্বয়ের দ্বিগুণ বা হ্রাসকৃত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের [*] [অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ];
কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট [**] বা উৎসে কর কর্তন সনদপত্র প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম:
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
রেকর্ডপত্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
নির্ধারিত জামানত প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
আরোপিত কর নিরূপণ ও পরিশোধ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিহার বা পরিহারের চেষ্টা করিবার অনিয়ম;
পরিহারকৃত করের [*] অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ];
“নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output coefficient) দাখিল না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
অব্যাহতি প্রাপ্ত পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে আইনের ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এ উল্লিখিত বিধান পরিপালন করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;
১ (এক) লক্ষ টাকা মাত্র।]
((১ক) ধারা ৪৯ এর বিধান অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন এবং জমা প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী উক্ত ধারার অধীন উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে,
(অ) ধারা ১২৭ অনুযায়ী আরোপিত সুদসহ উক্ত মূল্য সংযোজন কর তাহার নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন তিনি উক্ত ধারার অধীন একজন পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী:
(আ) দফা (অ) এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী ব্যক্তি, কর্তিত মূল্য সংযোজন কর জমা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার অনধিক ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা করিতে পারিবেন ।।
(২) অপরাধ বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকি] ব্যতীত যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান অনুযায়ী করণীয় কোন কিছু করিতে ব্যর্থ হন বা নিষিদ্ধ কিছু করেন, তাহা হইলে (ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা। উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত ব্যর্থতা বা কর্মকান্ডের গুরুত্ব ও পৌনঃপুনিকতাভেদে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও পরিমাণে, জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
[(২ক) কোন ব্যক্তি ভুলবশত বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে কর পরিশোধ না করিলে বা কর অনাদায়ী থাকিলে বা কর ফেরত গ্রহণ করিলে বা অধিক রেয়াত গ্রহণ করিলে বা যথাযথভাবে হ্রাসকারী/বৃদ্ধিকারী সমন্বয় না করিলে এবং পরবর্তীতে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নিরূপিত চূড়ান্ত কর সুদসহ পরিশোধ করিলে, উক্ত ক্ষেত্রে তাহার উপর কোনো জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।]
(৩) কোন ঘটনায় অপরাধ ও ব্যর্থতা বা অনিয়মের উপাদান থাকিলে অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা এবং ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য কার্যধারা গ্রহণে এই আইনের কোন কিছুই ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তাকে বাধাগ্রস্ত করিবে না।
(৪) (ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা] এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপের পূর্বে সংশ্লিষ্ট 1, উপ-ধারা (১) এর সারণীর (১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, নোটিশের মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন।
[(৪ক) কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো সরবরাহ না থাকিবার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি সাময়িকভাবে বন্ধ হইয়া যায় এবং প্রতি কর মেয়াদান্তে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর পুনরায় উক্ত প্রতিষ্ঠান চালু হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ এবং পুনরায় চালু হইবার মধ্যবর্তী কর মেয়াদ বা কর মেয়াদসমূহের দাখিলপত্র পেশের ব্যর্থতার জন্য উপ-ধারা (১) এর সারণীর ( ১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এ উল্লিখিত জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।]
(৫) মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর, সুদ ও অর্থদন্ডের অতিরিক্ত হিসাবে জরিমানা প্রদেয় হইবে।
(১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধান লংঘন করিয়া কোন পণ্য সরবরাহ করেন বা কোন সেবা প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত পণ্য বা সেবা প্রদানের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য, দলিলাদি ও যানবাহন কমিশনার বা মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আটক জব্দ ও নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন।
(২) কোন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকা অবস্থায় উপ-ধারা (১) এর অধীন জব্দকৃত পণ্য কমিশনার উহার মালিক বা প্রতিনিধির অনুকূলে নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন