Archives April 2024

Section-24: শূন্যহার বিশিষ্ট সেবা সরবরাহ

শূন্যহার বিশিষ্ট সেবা সরবরাহ-

(১) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(২) সরবরাহ প্রদানকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন পণ্যের উপর কায়িকভাবে প্রদত্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার্য কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথাঃ

(ক) যদি উক্ত পণ্য (কাস্টমস আইনের অধীন অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা

(খ) যদি সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্থায়ীভাবে উক্ত পণ্য বাংলাদেশে আনয়ন করিবার পর সেবা গ্রহণ শেষে বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হইয়া উহা বাংলাদেশ রপ্তানি করা হয়।

(৪) আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক মূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৫) বাংলাদেশের বাহিরে সেবা রপ্তানি শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যদি—

(ক) সরবরাহ গ্রহীতা

(অ) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা

(আ) কোন আবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করিয়া কার্যত উক্ত সেবা গ্রহণ করেন; এবং

(খ) উক্ত সেবা

(অ) বাংলাদেশে অবস্থিত ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত না হয়;

(আ) সরবরাহকালে বাংলাদেশে অবস্থিত পণ্যের উপর উহা কায়িকভাবে প্রদান করা না হয়; বা

(ই) বাংলাদেশের বাহিরে সাময়িকভাবে অবস্থানরত কোন ব্যক্তিকে বৈশ্বিক পদচারণার (global roaming) ক্ষেত্রে প্রদান করা না হয়।

(৭) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না, যদি

(ক) উক্ত সেবা সরবরাহ বাংলাদেশে অন্য কোন বিষয়ে একটি পরবর্তী সরবরাহ প্রাপ্তির (যাহা অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূন্যহার বিশিষ্ট নয়) অধিকার (right) বা ভবিষ্যতে ক্রয়ের অধিকার অর্জন (option) করা সংক্রান্ত হয়; বা (খ) উক্ত সেবা বাংলাদেশে অনিবন্ধিত কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করিবার উদ্দেশ্যে কোন অনাবাসিক ব্যক্তির সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন সরবরাহ করা হয়।

(৮) বাংলাদেশের বাহিরে কোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মামলা নথিভুক্তকরণ, মামলা পরিচালনা, অধিকার অর্পণ, উহার সংরক্ষণ, হন্তান্তর, স্বত্ব হস্তান্তর, লাইসেন্সকরণ বা অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৯) কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী কর্তৃক অন্য কোন অনাবাসিক টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারীর নিকট প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। (১০) মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের অনুকূলে প্রদত্ত সেবা সরবরাহ নিম্নবর্ণিত শর্ত

সাপেক্ষে, শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথাঃ

(ক)অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদত্ত হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত সেবা সরবরাহ করা হয়; বা

(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল আরোপ ব্যতিরেকে সেবা প্রদান করা হয়।

(১১) নিম্নবর্ণিত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:

(ক) পণ্যের আন্তর্জাতিক পরিবহণে বীমা সেবা সরবরাহ;

(খ) আন্তর্জাতিক পরিবহণে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের মেরামত, সংরক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যকোনভাবে কায়িক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তারকরণের সেবা সরবরাহ; বা

(গ) আন্তর্জাতিক পরিবহণে নিয়োজিত কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের চালনা, পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা, অনুরূপ বিষয়ের সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সেবা অনিবন্ধিত ও অনাবাসিক ব্যক্তির নিকট সরবরাহ।]

Section-23: রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ

রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ-

( ১ ) রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃআমদানিকৃত বা পুনঃআমদানির জন্য অভিপ্রেত কোন পণ্যের (২)[*] ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(২) নিম্নবর্ণিত সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথাঃ

(ক) যদি পণ্যটি সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয় এবং উক্ত পণ্য সরবরাহকারী কর্তৃক বাংলাদেশে সংযোজন, সংস্থাপন বা আমদানি করা না হয়;

(খ) যদি পণ্যটি আমদানির পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের নিমিত্তে প্রবেশের পূর্বে বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরবরাহ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরবরাহকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ছিল বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) লাইসেন্সধারী শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রেতা কর্তৃক পর্যটক বা বিদেশ হইতে আগত কোন দর্শনার্থীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের নিমিত্ত কোন পণ্যের সরবরাহ: বা

(ঘ) যদি পণ্যটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের সমগ্র সময়কাল বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের লিজ, হায়ার, লাইসেন্স বা উহার ব্যবহার সম্পর্কিত অন্যান্য সরবরাহ পৃথক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি পণ্যটি আন্তর্জাতিক ভূখন্ডে অবস্থানের অব্যবহিত পূর্বে এবং পরে বাংলাদেশে অবস্থান করে, তাহা হইলে লিজকৃত পণ্যটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অনুরূপ কাজে ব্যবহার্য কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথাঃ

(ক) যদি সরবরাহকৃত পণ্য উক্ত পণ্যের সহিত সংযোজন করা হয় বা উহার অংশে পরিণত হয় বা সংযোজিত হইবার ফলে উহা অব্যবহারযোগ্য বা নষ্ট হইয়া যায়;

(খ) যদি উক্ত পণ্য (কাস্টমস আইনের অধীন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা

(গ) যদি উক্ত পণ্য বাংলাদেশে সেবা গ্রহণের নিমিত্ত অস্থায়ীভাবে আনয়ন করা হয় ও সেবা গ্রহণের পর উক্ত পণ্য সেবা গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করিয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়।

(৪) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের সরবরাহ বিশিষ্ট হইবে, যথাঃ শূন্যহার

(ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদান করা হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়; এবং

(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল (charge) আরোপ ব্যতিরেকে যদি উক্ত পণ্য মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়।

(৫) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ বা অনুরূপ কোন যানবাহনের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যবিধভাবে উহার কায়িক অবস্থার উপর অন্য কোন প্রভাব বিস্তারকরণের প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত পণ্য শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৬) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ সম্পর্কিত পণ্যসম্ভার বা যন্ত্রাংশ ফ্লাইটের সময় বা সামুদ্রিক যাত্রাপথে উক্ত যানবাহনে ব্যবহার, ভোগ বা বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত হইলে উক্ত পণ্য-সম্ভার বা যন্ত্রাংশ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

ব্যাখ্যা—এই ধারায়, “পণ্যসম্ভার” অর্থ কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের ক্রু বা যাত্রীগণের ব্যবহার্য বা উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে ব্যবহার্য পণ্য-সম্ভার, এবং ব্যবহার্য পণ্য, জ্বালানী, খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, অনুরূপ পণ্য, তাৎক্ষণিক ব্যবহৃত হউক বা না হউক, উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

Section-22: বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ভূমি

বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ভূমি

স্থাবর সম্পত্তির সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যদি স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত ভূমি বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয়।

Section- 21: শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ

শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ—

(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত সরবরাহের ক্ষেত্রে মূসক হার হইবে শূন্য, যথাঃ

(ক) ধারা ২২, ২৩ এবং ২৪ এ উল্লিখিত কোন সরবরাহ: বা

(খ) শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ গ্রহণের অধিকার (right) বা ভবিষ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের অধিকার (option) সংক্রান্ত সরবরাহ।

(২) যদি কোন সরবরাহ অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং শূন্যহার বিশিষ্ট উভয়ই হয়, তাহা হইলে এই উপ ধারার আওতায় সরবরাহটি অব্যাহতিপ্রাপ্ত না হইয়া শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

Section-20: আমদানিকৃত সেবার ক্ষেত্রে গ্রহীতার নিকট হইতে (Reverse Charged) কর আদায়

আমদানিকৃত সেবার ক্ষেত্রে গ্রহীতার নিকট হইতে (reverse charged) কর আদায়—

(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আমদানিকৃত কোন সেবা সরবরাহ করযোগ্য সরবরাহ হইবে, যদি—

(ক) সরবরাহ গ্রহীতা একজন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি হন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় উক্ত সেবা অর্জন (acquire) করেন; এবং

(খ) সরবরাহটি নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায়বাংলাদেশে প্রদত্ত হইত এবং উক্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট না হইয়া অন্য কোন হারে করযোগ্য হইত।]

(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের গ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উক্ত ব্যক্তির উৎপাদ এবং উপকরণ উভয়বিধ কর হইবে।

(৩) আমদানিকৃত সেবা সরবরাহের কারণে যদি কোন সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়া থাকে বা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সমন্বয় সংঘটনের কারণে উক্ত সেবা একটি করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উক্ত সেবার সরবরাহ গ্রহীতা সেবা সরবরাহকারী হিসাবে গণ্য হইবেন।

(৪) “আমদানিকৃত সেবা”র সংজ্ঞা এবং উক্ত সেবার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কোন স্থান হইতে এবং বাংলাদেশের বাহিরে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে

(ক) উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে পরিচালিত করযোগ্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুইজন পৃথক ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হইবে;

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তির নিকট (এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংজ্ঞায়িত) সেবার প্রকৃতিবিশিষ্ট সুবিধা সম্বলিত সেবা প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে, যাহা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বা ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত হইয়াছে;

(গ) সেবা সরবরাহ করা হইয়াছে উহা অনুমান করিয়া সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা হইবে; এবং

(ঘ) সেবা সরবরাহ বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে অবস্থিত কোন সহযোগীর নিকট প্রদান করা হইয়াছে অনুমান করিয়া উহার মূল্য নির্ধারণ করা হইবে।

(৫) এই ধারার অন্যান্য উপ-ধারাসমূহে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রথম তফসিলে বর্ণিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবাসমূহ ব্যতীত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহেন অথবা নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তিযোগ্য নহেন এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত কোন সেবা করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উহা হইতে নিম্নরূপে মূল্য সংযোজন কর আদায় হইবে, যথা—

(ক) সংশ্লিষ্ট সেবা আমদানির ক্ষেত্রে সেবামূল্যের আংশিক বা পূর্ণমূল্য পরিশোধের সময় প্রদেয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তন করিবে; এবং

(খ) কর্তনকারী ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা আমদানিকারকের পক্ষে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করিয়া তাহার দাখিলপত্রে প্রদর্শন করিবে ।

Section-19: অনাবাসিক ব্যক্তির মূসক এজেন্ট

অনাবাসিক ব্যক্তির মূসক এজেন্ট–

(১) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা না করিলে, তাহাকে একজন মূসক এজেন্ট নিয়োগ করিতে হইবে।

(২) অনাবাসিক ব্যক্তির সকল দায়দায়িত্ব ও কার্যাবলী উক্ত মূসক এজেন্ট পালন ও সম্পাদন করিবেন, তবে আরোপিত কর, জরিমানা, দন্ড এবং সুদসহ যাবতীয় অর্থ পরিশোধের জন্য অনাবাসিক ব্যক্তি দায়বদ্ধ থাকিবেন।

(৩) মূসক এজেন্ট কর্তৃক সম্পাদিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের নিবন্ধন তাহার প্রধানের (principal) নামে হইতে হইবে।

(৪) বোর্ড, মূসক এজেন্ট নিয়োগের শর্ত, পদ্ধতি ও তাহার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে।

Section-18: নিবন্ধিত সরবরাহকারী এবং সরবরাহগ্রহীতা

নিবন্ধিত সরবরাহকারী এবং সরবরাহগ্রহীতা

ধারা ১৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নিবন্ধিত অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক অপর কোন নিবন্ধিত গ্রহীতার নিকট সরবরাহকৃত সেবা বাংলাদেশে প্রদত্ত হইবে, যদি

(ক) সরবরাহগ্রহীতা বাংলাদেশে কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে বা উহার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন; এবং

(খ) সরবরাহটি উক্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে বা উক্ত নির্দিষ্ট স্থানে প্রদান করা হয়।

Section-17: বাংলাদেশে প্রদত্ত সরবরাহ

বাংলাদেশে প্রদত্ত সরবরাহ–

(১) ধারা ১৫ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সরবরাহসমূহ বাংলাদেশে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে

(ক) আবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক সরবরাহ;

(খ) অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে বা উহার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক প্রদত্ত সরবরাহ;

(গ) দফা (খ)-তে উল্লিখিত সরবরাহ ব্যতীত অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহ, যদি সরবরাহটি

(অ) স্থাবর সম্পত্তির সরবরাহ হয় এবং উক্ত স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত ভূমির অবস্থান বাংলাদেশে হয়;

(আ) পণ্যের সরবরাহ হয় এবং উহা বাংলাদেশে হস্তান্তর, অর্পণ, স্থাপন বা সংযোজন করা হয়;

(ই) যদি সরবরাহটি নিম্নবর্ণিত কোন সরবরাহ হয় এবং মূসক অনিবন্ধিত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়

(ক) সেবা প্রদানকালে বাংলাদেশে অবস্থান করিয়া সেবা প্রদানকারী কায়িকভাবে বাংলাদেশে সেবা প্রদান করেন;

(খ) বাংলাদেশে অবস্থিত ভূমির সহিত সরাসরি সংশ্লিষ্ট সেবার সরবরাহ হয়;

(গ) বাংলাদেশের কোন ঠিকানায় বেতার ও টেলিভিশন হইতে গৃহীত সম্প্রচার সেবা হয়;

(ঘ) সরবরাহকালে বাংলাদেশে অবস্থিত কোন ব্যক্তির নিকট ইলেক্ট্রনিক সেবা সরবরাহ:

(ঙ) টেলিযোগাযোগ সেবা যাহা কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী বা বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থানকারী কোন বৈশ্বিক ক্রকারী (global roaming) ব্যতীত বাংলাদেশে অবস্থানরত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সূত্রপাত ঘটানো হয়

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর উপ-দফা (আ) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কোন অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্য অভ্যন্তরীণ ভোগের নিমিত্ত খালাসের পূর্বে সরবরাহ প্রদান করা হইলে উত্ত সরবরাহ বাংলাদেশের বাহিরে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর উপ-দফা (ই) এর উপ-উপদফা (ঙ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করেন তিনি সেই ব্যক্তি

(ক) যিনি সেবা সরবরাহকারী কর্তৃক নিম্নরূপে সনাক্তযোগ্য হন

(অ) সরবরাহের সূচনা নিয়ন্ত্রণকারীরূপে;

(আ) সেবার মূল্য প্রদানকারীরূপে;

(ই) সরবরাহের জন্য চুক্তিকারীরূপে;

(খ) যদি একাধিক ব্যক্তি দফা (ক) এর শর্তাবলী পূরণ করেন, তাহা হইলে যিনি উক্ত দফার তালিকায় অধিকবার দৃশ্যমান হন; এবং

(গ) সেবার ধরন বা প্রকার বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগণের বাস্তব অবস্থান কোন কারণে সরবরাহকারী কর্তৃক সনাক্ত করা সম্ভব না হইলে, সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ সেবা বা উত্তরূপ শ্রেণীর গ্রাহকের নিকট প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সেবার সকল প্রকার সরবরাহ, সরবরাহকারীর নিকট হইতে চালানপত্র গ্রহণকারী গ্রাহকের যে প্রকৃত বা বাস্তব আবাসিক বা বাণিজ্যিক ঠিকানা রহিয়াছে সেই স্থানে সরবরাহটি প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

Section-16: মূল্য সংযোজন কর পরিশোধে দায়ী ব্যক্তি

মূল্য সংযোজন কর পরিশোধে দায়ী ব্যক্তি

নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে মূসক প্রদান করিতে হইবে, যথাঃ

(ক) মূল্য সংযোজন কর আরোপযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে: আমদানিকারক;

(খ) বাংলাদেশে করযোগ্য সরবরাহ প্রদানের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী; (গ) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে: সরবরাহ গ্রহীতা;

(২) (ঘ) অন্যান্য ক্ষেত্রেঃ সরবরাহকারী বা সরবরাহগ্রহণকারী।]

Section-15: মূসক আরোপ

মূসক আরোপ—

(১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, করযোগ্য আমদানি এবং করযোগ্য সরবরাহের উপর মূসক আরোপিত ও প্রদেয় হইবে।

(২) করযোগ্য আমদানি বা করযোগ্য সরবরাহ মূল্যের সহিত উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত মূসক হার গুণ করিয়া প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ নিরূপণ ও নির্ধারণ করিতে হইবে।

(৩) করযোগ্য সরবরাহ বা করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক হার হইবে ১৫ শতাংশঃ

তবে, শর্ত থাকে যে, সরকার জনস্বার্থে তৃতীয় তফসিলে সুনির্দিষ্টকৃত যে কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত মূসকের হার কিংবা সুনির্দিষ্ট পরিমাণ কর নির্ধারণ করিতে পারিবেঃ

আরও শর্ত থাকে যে, কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত হ্রাসকৃত মূসক হার কিংবা সুনির্দিষ্ট করের পরিবর্তে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদান করিতে পারিবে।